শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে ২০২৫ এই কথাটি লিখে অনেকেই গুগলে সার্চ করে। কারণ শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হিন্দুদের একটি প্রধান উৎসব। এই দিনটি বিশেষ একটি দিন এই দিনে উপবাস থাকে আচার অনুষ্ঠান পালন হয়।এ বছর সারা দেশে একদিনে জন্মাষ্টমী ব্রত পালিত হবে ১৬ ই আগস্ট ২০২৫ এবং নন্দ উৎসব পালিত হবে ১৭ই আগস্ট ২০২৫।
জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সঠিকভাবে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করতে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন। কারণ আমরা আলোচনা করেছি শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে ২০২৫ এবং এর তিথি কয়টার সময় লাগবে এবং কয়টায় ছাড়বে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সূচিপত্র: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে ২০২৫
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে ২০২৫
কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে এই কথাটি অনেকে জানতে চাই। কারণ, এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয় মানুষরূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন দুষ্টের দমন ও সৃষ্টির পালন করার জন্য। এই দিনটি বিষয়ে আচার অনুষ্ঠান মাধ্যমে পালন করা হয়। ভাদ্র মাসের অষ্টমী তিথিতে রহি নক্ষত্রে বাসুদেব ও দেবকির কোল আলো করে কংসের কারাগারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাই ভক্তরা এই দিনে উপবাস থেকে তাদের মনবাসনা ভগবানকে জানায়। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শীকৃষ্ণ কে ভগবান রুপে মানেন। তাই এই দিনটির তাৎপর্য অনেক।
এবছর ২০২৫ সালে শীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হবে ১৬আগষ্ট শনিবার। এইদিন সরাকারি ছুটি থাকে। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা এইদিনে আনন্দ র্যালি বের করে। হিন্দুদের প্রতিটি মন্দির ও আশ্রম নতুন রুপে সজ্জিত হয় এবং বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করে। আর নন্দ উৎসব পালিত হবে ১৭আগস্ট রবিবার। এই দিনেও অনেকেয় ব্রত রাখেন। এই জন্মাষ্টমীর ব্রত পালনেরও কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। অষ্টমীটিতে শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক করতে হয়। এবং শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটা দিনটি উৎসর্গ করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কিভাবে এবং কেন হয়েছিল
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় কংসের কারাগারে। সে সময় কংস ছিলেন মথুরার রাজা। সে সময় তার অত্যাচারে প্রজারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তখন এক দৈববানি ভেসে আসলো দৈবকির অষ্টম গর্ভের সন্তান কংসকে বধ করবেন। কংশ তখন ভীষণ চিন্তিত হয়ে উঠলো। দৈবকি কে তিনি মারতে পারলেন না কারন দৈবকি তার সম্পর্কে নিজের বোন হয়। তাই কংস দেবিকি আর বাসুদেব কে কারাগারে রেখে দিলেন। একে সুখী ও বাসুদেবের সাত সন্তানকে কংস জন্মগ্রহণ এর সাথে সাথে মেরে ফেললেন।
এবার এলো সে মাহেন্দ্রক্ষণ যখন শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন। সে সময়টা ছিল ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম তিথির রোহিণী নক্ষত্রে শ্রীকৃষ্ণের জন্মগ্রহণ করেন।সে রাতে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল। শ্রীকৃষ্ণের মহিমায় সেদিন কংসের প্রহরীরা কেউ জানতে পারল না। বাসুদেব শিশু কৃষ্ণ কে নিয়ে নন্দরাজের গ্রিহে গেলেন এবং সেখানে রেখে আসলেন। সেখানেই শীকৃষ্ণ বড় হতে থাকলো। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার।
যুগে যুগে যখনি ধর্মের গ্লানিও অধর্মের উত্থান হয়েছে। ভগবান তখনি সাধুদের প্ররিত্রাণ ও দুষ্টের দমনে করার জন্য বিভিন্ন রূপে অবতার হন। তেমনি ভগবানের একটি রূপ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ। এরূপে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংসকে দমন করার জন্য অবতীর্ন হন। শীকৃষ্ণ হচ্ছে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। যেদিন শ্রীকৃষ্ণ জন্ম গ্রহন করেছিল সেদিনকে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। এদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে উপবাস থাকে এবং রাত মধ্যরাতে পূজা অর্চনা করে উপবাস ভঙ্গ করে। মূলত ধর্মকে রক্ষা করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
জন্মাষ্টমীর ব্রত পালনের নিয়ম
শীকৃষ্ণের জন্মের দিন জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়। এই জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। অনেকে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করেন কিন্তু জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের নিয়ম কানুন জানেন না। অথবা কেউ কেউ জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন ভাবছেন তার আমাদের এই আর্টিকেল টি ধৈয্য ধরে পড়ুন। কারণ এখানে আমরা জন্মাষ্টমী ব্রত কবে ২০২৫ এবং জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করেছি।
ভগবানের ভক্তরা এই দিনে সারাদিন উপবাস থাকে এবং শীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে শীকৃষ্ণর পূজা আর্চনা কিরে।এই দিনের শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক করতে হয়। শ্রীকৃষ্ণকে অর্থাৎ তার বিগ্রহ বা মূর্তি কে একটি বেদির উপর রেখে শীকৃষ্ণকে নতুন পোশাক পরিধান করে তার পূজা অর্চনা করতে হয়। এবং সংকল্প মন্ত্র পাঠ করতে হয়। শীকৃষ্ণকে ফুল জল অর্পণ করে শীকৃষ্ণের প্রসাদ খেয়ে, উপবাস ভঙ্গ করতে হয়।এই দিনে কিকি মন্ত্র পাঠ করতে হবে, কি কি খাবার খেতে হয় এবং কি ধরনের পোশাক পরিধান করতে হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
উপবাস: এই দিন সারাদিন উপবাস থাকতে হয়। যারা সারাদিন না খেয়ে থাকতে পারেন না তারা ফল মুল,দুধ, নিরামিষ খাবার খেতে পারেন। উপবাসের আগের দিন ও পরের দিন নিরামিষ খাবার খেতে হয়।
পূজা: জন্মাষ্টমীর দিন শীকৃষ্ণের বিশেষ পূজা অর্চনা করতে হয়। শীকৃষ্ণের পছন্দের ফুল, ফল,খাবার দাবার, ধুপ ধুনো, প্রদিপ তার চরণে অর্পণ করতে হয়। এই দিন এবং তার জন্ম তিথিতে শীকৃষ্ণ মন্ত্র পাঠ করতে হয়।
কীর্তন : এই দিনে হরি নাম সংকীর্তন করতে হয় এবং ভগবান শীকৃষ্ণের নাম জপ করে তার মাহাত্ম্য পাঠ করতে হয়।
মন্ত্র: এই দিনে শীকৃষ্ণের বিভিন্ন মন্ত্র পাঠ করতে হয়। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে বা তিথিতে শীকৃষ্ণনের এক একটি মন্ত্র পাঠ করে পূজা করা হয়। যেমন
যদা যদ।
সাজ্সজ্জা: জন্মাষ্টমীর দিন শীকৃষ্ণের মূতিকে,নতুন ভাবে সজ্জিত করা হয় এবং নতুন বস্ত্র পরিধান করাতে হয়।এবং তার ভক্তদের ও পরিষ্কার জামাকাপড় পরে হয়।
প্রসাদ বিতরণ : শীকৃষ্ণনের পছন্দের একটি ফল হচ্ছে তাল।এই দিন ভগবানকে তালের পায়েস, তালের বড়া, তালের পিঠা, নিবেদন করা হয় এবং তার প্রসাদ ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জন্মাষ্টমী দিন যেসব মন্ত্র পাঠ করতে হয়
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীর তিথির দিন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য পূর্ণ পবিত্র দিন। এই দিন ভগবান স্বয়ং পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন ধর্ম কে রক্ষা করার জন্য এবং অধর্ম কে বিনাশ করার জন্য। বছরের প্রতিটা দিনই ধর্ম পালন করতে হয় এবং করা উচিৎ। তবে শীকৃষ্ণের জন্মের দিন অর্থাৎ জন্মাষ্টমী দিন পবিত্র হয়ে শীকৃষ্ণের মন্ত্র পাঠ করতে হয় এবং তাঁর নাম গুনগান করেতে হয়। তো চলুন জানা যাক কি কি মন্ত্র পাঠ করলে ভগবান সন্তুষ্ট হয় এবং ভগবান এর কৃপা লাভ করা যায়।
ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়: এটি কৃষ্ণের একটি প্রণাম মন্ত্র। এই মন্ত্র পাঠ করলে জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ এই মন্ত্র পাঠ করলে সন্তান এবং বিদ্যা লাভ করা যায়।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে"
এটি মহামন্ত্র নামে পরিচিত। এইমাত্র পাঠ করলে জীবনে শান্তি আসে এবং দুঃখ কষ্ট দূর হয়।
"দেবকী পরমানন্দং কৃষ্ণং
বন্দে জগদ্ গুরুম্"
এটি একটি শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্র ।
"নামো ব্রাহ্মণ্য দেবায় গো
ব্রাহ্মণ্য হিতায় চ
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায়
গোবিন্দায় নমো নমঃ"
এটি শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকিত মন্ত্র। এছাড়াও আরো অনেক মন্ত্র পাঠ করা হয় শ্রীকৃষ্ণ সন্তুষ্টি ও কৃপা লাভের জন্য ।
জন্মাষ্টমীর দিন কি ধরনের খাবার খেতে হয়
শীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হবে এই কথাটি লিখে গুগলে অনেকে যেমন সার্চ দেয় তেমনি অনেকে জানতে চাই জন্মাষ্টমীর দিন কি কি খাবার খেতে হয় না এবং কি কি খাবার খেতে হয় তা জানাবো আমরা এই অংশে। জন্মাষ্টমীর দিন ভগবান শীকৃষ্ণের পছন্দের সব খাবার তৈরি করে ভগবান কে নিবেদন করতে হয়, প্রসাদ বিতরণ করতে হয় এবং খেতে হয়।
- ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নারিকেল নাড়ু অনেক পছন্দ এই জন্য হোক হিসেবে নাড়ু দেওয়া হয়।
- মাখন অনেক পছন্দ তাই মাখনও দেওয়া যেতে পারে।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার হিসেবে দই, রাবরি,পায়েস খাওয়া যাবে।
- এদিন তালের বড়া বা তালের অন্যান্য সামগ্রিক খেতে হয়।
- ফলমূল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন পেয়ারা আপেল, আঙ্গুর, কমলা ইত্যাদি
- এই দিন নিরামিষ আহার গ্রহন করতে হয়।
- এই দিনে কোন ধরনের মাদক দ্রব্য সেবন করা যাবে উচিত না।
- এদিন আমিষ খাবার সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।
জন্মাষ্টমীর দিন কি ধরনের পোশাক পরতে হয়
জন্মাষ্টমী কি ভাবে সঠিক নিয়মে পালন করতে হয় তা আমরা অনেকে জানিনা। ভগবানের আরাধনা সবসময় পবিত্র দেহ ও পবিত্র মন নিয়ে করতে হয়। পোশাক যদিও বাহ্যিক বিষয় তবু পোশাক পবিত্র থকলে দেহ পবিত্র থাকে এবং দেহ পবিত্র থাকলে মনও পবিত্র থাকে। শীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর দিন স্ন্যান সেরে নতুন পোশাক পরিধান করতে হয় তবে নতুন পোশাক না পেলে পুরনো পোশাক পরিষ্কার করে পড়তে হবে। পোশাক যেমন হোক পবিত্র হয়ে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করাটায় মেন উদ্দেশ্য।
জন্মাষ্টমীর দিন কালো রঙ্গের পোশাক পরা নিষেধ। শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের রং হচ্ছে গোলাপি ও কমলা। তার শ্রীকৃষ্ণকে এই দিনগুলো প্রিয় কমলা রঙের পোশাক পরাতে হয় এবং আপনিও এই দিন এই রঙের পোশাক পড়তে পারেন। তাছাড়া লাল মেরুন সবুজ নীল পোশাক রঙ্গের পোশাক পড়াতে ও পড়তে পারেন। মেয়েরা এই দিন শাড়ি, লেহেঙ্গা, সেলোয়ার কামিজ পড়তে পারেন। এবং ছেলেরা ধুতি, পাঞ্জাবি এবং কুর্তা পড়তে পারেন। তবে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ ও আরামদায়ক এবং অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য বহন করে এমন পোশাক নির্বাচন করুন।
জন্মাষ্টমীর উপবাস ১৬ না ১৭ আগস্ট কোন দিন পালন করতে হবে
এ বছর বাংলা ১৪৩২ এবং ইংরেজি ২০২৫ সালের জন্মাষ্টমী পালিত হবে ১৬আগস্ট। অনেকে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছে জন্মাষ্টম পালন করবে কোন দিন ১৬ই না ১৭ই আগস্ট। তাদের ধারণা ক্লিয়ার করতে আজকে আমাদের এই আয়োজন। বাংলা পঞ্জিকা মতে এবার শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হবে ১৬ই আগস্ট এবং নন্দ উৎসব পালিত হবে ১৭ আগস্ট। এ বছর শ্রীকৃষ্ণের মহিমায় সারা দেশে এক দিনে জন্মাষ্টমী ব্রত পালিত হবে। তাই এই জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব অনেক। কয়েক বছর পর পর এই তিথি আসে যখন সারা দেশে একদিনে জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জন্মাষ্টমী তিথি পালনের সময়
ভারত
১৫ আগস্ট ১১: ৪৯ pm থেকে ১৬ আগস্ট রাত ৯:৩৪ pm
বাংলাদেশ
১৬ আগস্ট ১২:১৯ am থেকে ১৬ আগস্ট রাত ১০:০৪ pm
দুবাই, ওমান
১৫ আগস্ট ১০:১৯ pmথেকে ১৬ আগস্ট রাত ৮: ০৪
মালোশিয়া, সিঙ্গাপুর
১৬ আগস্ট ২:১৯ am থেকে ১৭ আগস্ট ১২:০৪am
বাহারাইন, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব
১৫ আগস্ট ৯:১৯ pm থেকে ১৬ আগস্ট ৭:০৪ পম
লন্ডন
১৫ ই আগস্ট ৭:১৯ pm থেকে ১৬ আগস্ট ৫:০৪ pm
জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের সুফল
কলিযুগে ভালো থাকা এবং সকল পাপের বিনাশ ঘটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা। আর জন্মাষ্টমীর দিন যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা বাধ্যতামূলক তাই জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করার সুফল অনেক। নিম্নে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমব্রত পালনের যে সব সুফল পাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো :
আধ্যাত্মিক শক্তির উন্নতি : জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে মনের আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। জন্মাষ্টমীর প্রবাসীর ভক্তদের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষ্ণ প্রেমের মতি হয়।
মানসিক শান্তি : জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে এবং কৃষ্ণ নাম জপ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
ইচ্ছা ও আত্মশক্তি বৃদ্ধি :
জন্মাষ্টম ব্রত করলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। নতুন করে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয় এবং ইচ্ছা ও আত্মশক্তি বৃদ্ধি পায়।
সুখ সমৃদ্ধি লাভ হয় : এই ব্রত পালন করলে মানুষের পরিবারের সুখ শান্তি ফিরে আসে এবং আর্থিকভাবেও সমৃদ্ধশালী হয়।
নৈতিক শিক্ষা বৃদ্ধি পায় : জন্মাষ্টমী প্রতিপালন করলে মানুষের মাঝে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ ঘটে। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হয় এবং ভ্রাতৃত্ববোধের উদয় ঘটে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বেড়ে যায়।
অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা : সর্বপরি জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে শুভশক্তির বিনাশ ঘটে। শুভ শক্তির উদয় হয়। মানুষ সর্বদা বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
শেষ কথা: শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে 2025
এতক্ষণ আমরা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি জানতে পেরেছেন শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে ২০২৫ এবং জন্মাষ্টমী ব্রত কিভাবে পালন করতে হয়, জন্মাষ্টমী পাথর গত নিয়ম কানুন, জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের সুফল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন তাও জেনেছি। যখন এই ধরাধাম অধর্মের উত্তাপ বেড়ে যায় তখনই ভগবান একেক রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসেন ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য। তেমনি ভগবান একটি রূপ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ রূপ এ রূপে ভগবান কংসকে বধ করেছেন। তাছাড়া আরো অনেক রাক্ষস কে বোধ করেছেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে হচ্ছে জন্মাষ্টমী।
জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করলে আমাদের মঙ্গল কামনা হয় এবং অশুভ শক্তি দূরে যায়। পরিবারের সুখ শান্তি ফিরে আসে। আমাদের সকলের উচিত জন্মাষ্টমব্রত পালন করা। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলবেন না এবং অন্যের মাঝে শেয়ার করে অন্যকে জন্মাষ্টমী ব্রত কবে তা জানার সুযোগ করে দেবেন।
এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url