কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় এর উপায়
কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় কথাটা স্বপ্নের মত মনে হলেও বাস্তবে কৃষি কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। কি ভাবে আপনি কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করবেন তা নিয়ে থাকছে আমাদের এই আটকেলে বিস্তারিত আলোচনা। এর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অতিক্রম করে কৃষি কাজ করতে হবে। সাথে লাগবে আপনার বুদ্ধি, পরিশ্রম ও ধৈর্য। এগুলো তারা আপনি সাফল্যের চরম শীর্ষে পৌঁছাবেন
শিক্ষিত বেকার যুবকরা অনেকেই এখন বুদ্ধি খাটিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা কৃষি কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। যে ধাপ গুলো আপনাকে সাফল্যের শিষ্যে নিয়ে যাবে। সেগুলো নিয়ে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্র : কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয়
- কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয়ের উপায়
- কৃষিকাজের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন
- আগাম ফসল উৎপাদন করতে হবে
- সব ধরনের ফসল চাষ করতে হবে
- জমিতে সঠিক পরিমাণ সেচ ও সার দিতে হবে
- ফসলে কোন ক্ষতির লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিতে হবে
- ফসল সঠিকভাবে বাজার জাত করতে হবে
- কৃষি কাজ হিসেবে করতে পারেন যে সব কাজ
- লেখকের মন্তব্য : কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয়ের উপায়
কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় এর উপায়
কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় কথাটা অনেকে হাস্যকর মনে করেন। কিন্তু আপনি যদি দক্ষ হাতে মাথা খাটিয়ে কৃষিকাজ করতে পারেন তবে লাখ টাকা কেন তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে। তার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করতে হবে। কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন আপনি যে দেশে কৃষি কাজ করবেন সেদেশের আবহাওয়া সম্পর্কে থাকতে হবে। যে জমিতে আপনি কৃষিকাজ করবেন সে জমির মাটির গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হবে। সর্বোপরি আপনাকে পরিকল্পনা করে চাষাবাদ করতে হবে।
বর্তমানে অনেক তরুণ প্রজন্ম এখন আধুনিক পদক্ষেপে কাজে লাগিয়ে কৃষি কাজ করছে এবং সফল হচ্ছে। আপনিও যদি লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে এখন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হতে চান তবে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্য। আপনি কি জন্য কিভাবে পারবেন তা নিয়া বিস্তারিত আলোচনা থাকছে নিম্নে। তাই আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন।
কৃষি কাজের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন
কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয়ে করার জন্য আপনাকে প্রথম যে বিষয় টি লক্ষ্য রাখাতে হবে সেটি হচ্ছে সঠিক জমি নির্বাচন। কৃষি কাজ করে ফসল উৎপাদন এর জন্য আপনাকে উর্বর ফসল উৎপাদন উপযোগী জমি নির্বাচন করতে হবে। শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি যেমন হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা তেমন কৃষি কাজের জন্য প্রাথমিক ভিত্ত হচ্ছে জমি। সেটা ফসল উৎপাদন এর ক্ষেত্রে হোক বা পশুপালন এর ক্ষেত্রে হোক। তাই কৃষি কাজের জন্য প্রচুর জায়গার দরকার হয়।
কৃষিকাজ করার জন্য যেসব বিষয় প্রতি খেয়াল রেখে যাওয়া নির্বাচন করতে হবে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল
- পানি যেন তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় সে রকম জমিন নির্বাচন করতে হবে।
- একটু উন নির্বাচন করতে হবে।
- উর্বর মাটি দেখে জমি নির্বাচন করতে হবে।
- যে জমিতে শেচ দেওয়ার ব্যবস্থা এবং গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তা রয়েছে সেরকম দেখে জমিনের ওজন করতে হবে ।
- বসত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ছবিটা সের জন্য জমি নির্বাচন করতে হবে।সর্বোপরি বারো মাস চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে কোন ফসল কোন জমিতে ভালো হয় সে বিষয়ের উপর জমি নির্বাচন করতে হবে।
আগাম ফসল উৎপাদন করতে হবে
কৃষি কাজ করে যদি মাসে লাখ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কিছু টেকনিক ফলো করে ফসল উৎপাদন করতে হবে। যেমন যে কোন ফসল প্রথম প্রথম চাহিদা অনেক থাকে। তাই অধিক লাভের জন্য অগ্রিম ফসল ফলে হাটে তুলতে হয়। যে কোন সিজনাল জিনিস প্রথম প্রথম চাহিদা বেশি থাকে যেমন শীতের টাইমে অগ্রিম টমেটো, পাধাকপি, মুলা, ফুলকপি ও বিভিন্ন ধরনের শাক। গ্রীষ্মকালে কচু, অগ্রিম আলু, পটল, কাটোয়া ডাটা, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি ফসল চাষাবাদ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা
এতে করে আপনি অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে আমাদের দেশের শীতকালীন আগাম সবজির প্রচুর চাহিদা থাকে তাই আপনি যদি শীতকালীন সবজি চাষ করে কি করতে পারেন তবে আপনি আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারবেন। তবে আগাম ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও রোগবালায় বলে হতে পারে। তাই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে সার কীটনাশক দিতে হবে এবং জমিতে নিয়মিত দেখাশোনা করতে হবে। অগ্রিম ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে গরু ছাগল উপদুপ হতে পারে সেজন্য জমিতে প্রয়োজনে বেড়া দিতে হবে।
সব ধরনের ফসল চাষ করতে হবে
আমাদের এই দেশ যেহেতু ষড়ঋতুর দেশ তাই এখানে একেক ঋতুতে এক ধরনের ফসল হয়। আপনি যদি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে সব ধরনের ফসল চাষ করতে হবে। যেমন
শীতকালীন সবজি :
শীতকালে আমাদের দেশের প্রচুর চাহিদা থাকে। তাই সময় যদি আপনি আগাম সবজি চাষ করে বাজার বিক্রি করতে পারেন তবে আপনি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। শীতকালীন সবজি হিসেবে আপনি আগ বাঁধাকপি, আগাম ফুলকপি, আগাম টমেটো, আগাম মূলা এসব চাষ করতে পারেন প্রথম প্রথম বাজারে গো চরা মূল্যে বিক্রি হয় এবং প্রচুর চাহিদা থাকে।
বিভিন্ন ধরনের শাক
শীত কালে আরেকটা জিনিসের প্রচুর চাহিদা থাকে আর সেটি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক। বাংলাদেশের আবোহাওয়া উপর ভিত্তি করে শীত কালে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। যেমন বুটের শাক, মটরশুঁটি ও মটর শাক, সরিষা শাক, খেশারি শাক, লাল শাক, পালঙ্ক শাক ইত্যাদি। এসব শাক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টি গুনে ভরপুর।
বিভিন্ন ধরনের কাঁচা তরকারি
বাংলাদেশের মানুষের যেহেতু প্রধান খাদ্য ভাত তাই আমাদের দেশে সারা বছর কাঁচা তরকারির চাহিদা লােগেয় থাকে। তাছাড়া বার মাস কাঁচা তরকারি চাষ করলে আপনি বারমাস বাজারে কাঁচা তরকারি পাইকারী বা খুচরা বিক্রকরতে পারবেন। এইভাবে আপনি কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল
কিসে কাজ করে মাসের লাখ টাকা আয় করার জন্য আপনি ফল চাষ বেছে নিতে পারেন। কারণ ফলের বাগান করে এখন অনেক বেকার তরুণ স্বাবলম্বী হয়েছে। ফল বাগান হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন মাল্টা ফলের বাগান, লেবুর বাগান, ড্রাগন ফলের বাগান, পেয়ারার বাগান, আপেল বরের বাগান, লিচুর বাগান আমের বাগান ইত্যাদি। এসব ফলগুলো কম বেশ সারা বছর পাওয়া যায় এবং বাজারে অনেক চাহিদা থাকে।
অনেক বেকার তরুণ যুবকরা এখন এসব ফলের বাগান তৈরি করছে এবং আধুনিক কিছু প্রযুক্তির কাজে লাগিয়ে কৃষি কাজ করে মাসে লোকটা ইনকাম করছে।আপনিও যদি কিসে কাজ করেন মাসে লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে এরকম ধরনের ফলের বাগান তৈরি করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরেন মসলা
খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে মশলার জুড়ি নেই। খাবারের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় রাধুনীর ছোঁয়ায় ও ময়ালার স্বাদে। আর বাঙালি রান্না মসলা ছাড়া অসম্ভব ।তাই আপনি যদি কৃষির কাজ করে মাসের লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে মসলার চাষ করে খুলতে পারে আপনার ভাগ্যের চাকা। তাই আর দেরি না করে আজ থেকে কৃষিকাজ করার জন্য মশলা চাষ কে বেছে নিতে পারেন। মসলা চাষ হিসেবে আপনি করতে পারেন হলুদের চাষ, দারুচিনি এলাচ এর চাষ, লবণ চাষ, তেজপাতের চাষ ইত্যাদি।
জমিতে সঠিক পরিমাণে সেচ ও সার দিতে হবে
কৃষি কাজ করে সফল হতে চাইলে আমি ওকে প্রতিনিয়ত জমিতে দেখাশোনা করতে হবে এবং জমিতে সঠিক পরিমাণের সার ও নিয়মিত সেচ দিতে হবে। কোন ফসলে কখন শেষ দিলে ভালো হয় এবং কোন ফসলে দিতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। যেমন, গম চাষের ক্ষেত্রে গমের বীজ বপণের ২০ থেকে ২৫ দিনে মধ্যে সেচ দিতে হবে। আর ধান চাষের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই মানে যারা রোপনের প্রথম থেকেই জমিতে পানি রাখাতে হবে। এবং মাঝে মাঝে জমির পানি কেটে শুকনো রাখতে হবে। এবং জমিতে সার দেওয়ার সময় জমিতে পানি রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র অবস্থায় টাকা ইনকাম করার ১০ উপায়
তাহলে ফসল ভালো হবে এবং অল্প সময় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। তার জন্য আপনাকে অনেক কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে না হলে উপজেলা থেকে যে কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ অংশ নিতে হবে। আরো অধিক জানার জন্য মোবাইল ইউটিউব দেখে আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সর্বোপরি আপনাকে একদম দক্ষ ও সফল কৃষক হতে হবে। তাহলে আপনি কৃষি কাজ করে মাসের লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
ফসলে কোনো ক্ষতির লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম থেকেই পদক্ষেপে নিতে হবে
কৃষি কাজ করতে গেলে আপনাকে অনেক বাধার সমুখিন হতে হবে। তার মধ্যে প্রথম বাধা হচ্ছে ফসলের রোগ বালায়। ভালো ফলন পেতে হলে আপনাকে রোগমুক্ত ফসল উৎপাদন করতে হবে। তাহলে ফসলের গুণ ও মান বজায় থাকবে এবং ফলন বেশি হবে। জমিতে সার ও সেচ নিয়মিত দেওয়ার পাশাপাশি ফসলে কোন রোগবাদের আক্রমণ হচ্ছে কিনা কিংবা জমির ফসল ইদুর বা পোকাতে কাটছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
একজন সফল কৃষক হতে গেলে আপনাকে এসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজন নিজের না পারলে লোক দিয়ে এগুলো দেখাশোনা করতে হবে নিয়মিত। এবং জমির পরিমাণ বেশি হলে একের অধিক লোক নিয়োগ করতে হবে। তাহলে জমির পরিচর্যা ভালো হবে। তাছাড়া নিয়মিত জমির আগাছা দমন করতে হবে।
ফসল সঠিকভাবে বাজারজাত করতে হবে
ফসল ফলানোর চেয়ে আর একটি কঠিন ধাপ হচ্ছে ফসল সঠিকভাবে বাজার জাত করা। ভালো ফসল ফলিয়ে শুধু বাড়িতে খেলে আপনার পুষ্টিগুণ হবে ঠিকই কিন্তু এ থেকে আপনি কোন টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনি যদি কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে কেবলমাত্র ভালো ফসল ফলালেই হবে না সেটি সঠিকভাবে বাজারজাত করতে হবে। এ থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে যেমন পারবেন আবার অন্যদিকে দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারবেন।
ফসল বাজার করার জন্য আপনাকে টাটকা তরতাজ ফসল তুলে বাজারজাত করতে হবে এতে আপনার পণ্যের ক্রেতার চাহিদা বাড়বে। এইজন্য রাস্তার মাথার জমিতে ফসল চাষ করতে হবে। ফসল বাজারজাত করার জন্য আপনাকে আগে থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করে রাখতে হবে এতে আপনি টাটকা ফসল ক্রেতাদের মাঝে পৌঁছাতে পারবেন। প্রয়োজনে আপনাকে বড় বড় বাজারে ফসল বাজার জাত করতে হবে এতে আপনি আসলে অনেক দাম পাবেন এবং অধিক লাভবান হতে পারবেন।
কৃষি কাজ হিসেবে করতে পারবেন যেসব কাজ
কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করার জন্য আপনি করতে পারবেন এমন আরো অনেক কাজের তথ্য আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরব। আপনার অর্থ, জায়গা এবং চাহিদা অনুযায়ী এ সব কাজ গুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তো চলুন দেখিনেই কৃষিকাজে হিসেবে করতে পারবেন এমন কাজগুলো কি কি?
পশুপালন : কৃষি কাজ করে মাসের লাখ টাকা আয় করতে চাইলে প্রথমে যে মাথায় আসে সেটি হলো পশু পালন। পশু পালন করে আপনি অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারবেন। তবে পশু পালনে বিশেষ করে গরু পালনে পূঁজি একটু বেশি লাগে। আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণ পুজিও জায়গা থাকে তবে আপনি পশু পালন করতে পারেন। এতে করে মাসে অনেক টাকা লাভ করা যাবে।
গরু পালনের ক্ষেত্রে আপনাকে খাবারের যোগান যেন ঠিকমতো থাকিস এদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। গরু কি কাঁচা সবুজ ঘাস খাওয়ালে গরুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হয় এবং গাভী অনেক দুধ দেয়। তাই গরু পালন করে আপনি যেমন দেশের মানুষের মাংস দুধের পুষ্টি চোদোন দিতে পারবেন পাশাপাশি মাসের লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
হাঁস মুরগি পালন : হাঁস মুরগির খামার করে এখন অনেক বেকার তরুন তরুনীরা আচ্ছা স্বাবলম্বী হয়েছে এবং মাসের লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। বাড়ির মহিলারাও সংসার সামলানোর পাশাপাশি হাঁস মুরগির খামার দেখাশোনা করতে পারে। বাড়িতি টাকা ইনকাম করতে পারে। হাঁস মুরগি পালনের জন্য তেমন অধিক পূজির প্রয়োজন হয় না। তুমি কি অবস্থায় অল্প কয়েকটি দিয়েই আপনি খামার শুরু করতে পারবেন। তবে হাঁস মুরগি খামার যেন পুকুরের ধারে হয় তাহলে বেশি সুবিধা হয়।
ভেড়া ছাগল পালন : সঠিক উয়ায়ে ছাগল ভেড়া পালন করেও আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাধ্যমিক অবস্থা আপনি অল্প কয়েকটি মহিলা ভেড়া বা ছাগল নিয়ে খামার শুরু করতে পারেন। পরবর্তী গুলো থেকে বাচ্চা হয়ে যখন অনেক ভেড়া ছাগল হবে তখন আপনি বড় পরিসরে খামার শুরু করতে পারবেন। ছাগল ভেড়া পালন করে শুধু আপনি স্বাবলম্বী হবেন তা না পাশাপাশি আপনি অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ও ব্যবস্থা করতে পারবেন।
তবে ছাগল ভেড়া পালন করার ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে। ছাগল ভেড়ার ঘর যেন উঁচু হয় এবং আলো বাতাস চলাচল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাটি যেন সাথে স্যাতসেতে হয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । কারণ সাথে সাথে মাটিতে ছাগল ভেড়ার অসুখ বেশি হয়। ছাগলকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
মৎস্য চাষ : বাঙালির একটি পরিচয় হচ্ছে মাছে ভাতে বাঙালি। তাই আমাদের দেশে সারা বছর মাছের চাহিদা লেগেই। দেশে মৎস্য চাহিদা মেটাতে এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করতে আপনি মৎস্য চাষ বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া মৎস চাষ করে অনেক বেকার যুবকরা নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে। তাছাড়া মৎস চাষ করে শুধু দেশের আমি চাহিদা মিটাছে তা নয়। মৎস চাষ করে এখন বিদেশ মৎস রপ্তানি করছে এবং বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছে।
যেসব মাছ-বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে চিংড়ি। চট্টগ্রামে ও খুলনায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য চাষ বেশি হয়ে থাকে এগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন মাছের শুট কি করে এগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হয়। শুটকি মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই মৎস চাষ করে আপনি অনায়াসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন ফলের বাগান: বিভিন্ন ফলের বাগান করেকলার বাগান ও আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফলের বাগান হিসেবে আপনি করতে পারেন। পেয়ারার বাগান, আপেল বড়ই এর বাগান, মাল্টার বাগান, ড্রাগন ফলের বাগান, আমের বাগান ইত্যাদি। আমাদের দেশে একেক সিজিনে একেক ধরনের ফল হয় তাই আপনি সিজিনাল ফলের বাগান করতে পারেন। ফুলের বাগানের ফাঁকে ফাঁকি আপনি বিভিন্ন ধরনের মসলা চাষ করতে পারেন যেমন আদা, রসন পেঁয়াজ হলুদ ইত্যাদি।
লেখক এর মন্তব্য: কৃষি কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় এর উপায়
আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি আপনি ধৈর্য সহকারে পড়েছেন। নিশ্চয়ই এটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন কি কিভাবে কৃষি কাজ করলে মাসের লাখ টাকা আয় করা যায়। তখন আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের কৃষি কাজ করে কিভাবে লাখ টাকা আয় করা যায় তার একটা ক্লিয়ার ধারণা দিতে। আমাদের দেশ যেহেতু কৃষি প্রধান দেশ। তাই আপনি অনাআসে ধৈর্য ধরে মাথা খাটে কৃষি কাজ করলে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমরা সব সময় চাই আপনাদের উপকারে আসে এমন কিছু আর্টিকেল লিখতে। তাই লেখার মাধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন। আর লেখা যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই লাইক শেয়ার করবেন।
এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url