প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে তা এখনো অনেকের অজানা। আজকে আমাদের আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ করেছি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের সব সুবিধা দিয়ে থাকে তা নিয়ে আলোচনা। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য এক নতুন দারপ্রান্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রবাসীরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন তা আলোচনা করব আমাদের বিস্তারিত আলোচনায়।
তো প্রিয় শ্রোতারা ২০২৫ সালে এসে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কিভাবে প্রবাসীদের সাহায্য করছে এবং আত্ম উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য ভূমিকা রাখে। চলুন দেরি না করে বিস্তারিত জানা যাক।
সূচিপত্র: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কতো সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর কার্যালয় কোথায়
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব লোন দিয়ে থাকেন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ম ২০২৫।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের মেয়াদ ও সূদের হার কত?
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পেতে কি কি শর্ত লাগে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ প্রতিশোধের নিয়ম
- শেষ কথা : প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে
প্রিয় পাঠক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব সুবিধা দিয়ে থাকেন তা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তাই আজকে আমরা জানবো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুবিধা সমূহ। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রবাসদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা বয়ে নিয়ে এসেছে। বলা যায় প্রবাসীদের জন্য শোভাগ্যের দার খুলে দিয়েছে এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।অনেকের বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে বিদেশ যেতে পারে না। কেউ কেউ বা ভিটে মাটি নিঃস্ব করে বিদেশ যাই ইনকামের জন্য।
কিন্তু যখন ইনকাম করে ফিরে তখন টাকা থাকলেও সাধের ভিটা আর ফিরে পায় না। তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনেক অসুবিধা বয়ে নিয়ে এসেছে। কারণ এখন বৈধভাবে যারা বিদেশ যাচ্ছে তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসী ঋণ দিয়ে থাকে। তাই বিদেশ যাওয়া এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে ফিরে এসে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করার জন্য লোন পেয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রবাসীদের জন্য এসব লোনের সুদের পরিমাণ অনেক কম। তাছাড়া নারী প্রবাসীদের জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর কার্যালয় কোথায়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসীদের সুবিধার্থে। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কারণ একটি দেশের বড় রেমিটেন্স আসে এই প্রবাসীদের হাত ধরে। ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই মানুষের বিদেশ যাওয়ার চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি দেশের অর্থনীতিতে চাকাও সফল হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হচ্ছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি ব্যাংক, যা প্রবাসীদের বিশেষ আর্থিক সেবায় নিয়োজিত। এর প্রধান কার্যালয় হচ্ছে ঢাকায়। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হচ্ছে চানু গোপাল ঘোষ। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রত্যেকটা বিভাগ এর শাখা রয়েছে তবে প্রধান শাখা হচ্ছে ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ইস্কাটন, ঢাকা- ১০০০। এবং এর ওয়েবসাইট হচ্ছে: www pkb.gov.bd. ই-মেইল: info@pkb.gov.bd. টেলিফোন: ++৮৮০২-৪৮৩২২৮৭৩
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের যেসব লোন দিয়ে থাকে
প্রবাসী কল্যাণ প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। প্রবাসীরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে সব লোন পেয়ে থাকেন তা এখন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রধান দুই ধরনের লোন ফরম দিয়ে থাকে একটি হচ্ছে
- অভিবাসন লোন ও
- পুনর্বাসন লোন
তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যে সব ঋণ দিয়ে থাকে সেগুলো হল
- অভিবাসন ঋণ: বিদেশগামী অভিবাসী কর্মীদের জন্য ৯% সুদে সর্বোচ্চ তিন (৩) লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য ঋণ সুবিধা।
- নারী অভিবাসন ঋণ: নারী বিদেশগামী অভিবাসী কর্মীদের জন্য ৯% সুদে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য ঋণ সুবিধা।
- বিশেষ পূর্ণবাসন লোন: নাইনটি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ভাবের কারণে ১ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখ হতে পরবর্তী সময়ে দেশে ফেরত আসা ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী এবং কোভিড সংক্রমণে প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী কর্মীদের পরিবারের ১ জন উপযুক্ত সদস্যকে পূর্ণবাসনের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে ৪% সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা।
- আত্মকর্মসংস্থান ঋণ : বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মীদের আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে চার শতাংশ সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২ বছর মেয়েদে ঋণ সুবিধা।
- পূর্ণবাসন ঋণ : বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের জন্য ৯% সুদে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য ঋণ সুবিধা।
- নারী পূর্ণবাসন ঋণ : প্রবাস ফেরত নারী অভিবাসী কর্মীদের ৭% সুদে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়েদের ঋণ সুবিধা।
- সিএমএসএমই ঋণ: নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত উদ্যোক্তাগণ ৯% সুদে, ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়েদে ঋণ সুবিধা।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণ: ৯% সুদে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ সুবিধা।
- অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ: বিদেশে কর্মরত এবং বিদেশে ফেরত অভিবাসী কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারকে ৯% সুদে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ বছরের জন্য ঋণ সুবিধা।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণ ঋণ : অভিবাসী ব্যতীত সাধারণ উদ্যক্তগণ ৯% সুদে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ম ২০২৫
কেউ শিক্ষার জন্য কেউ চাকরির জন্য কেউ বা কাজের জন্য বিদেশে পারিজামাচ্ছে।এসব প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়ে এসেছে সুবর্ণ সুযোগ। কারণ এখন আর কারো কাছে উচ্চ সুদে, আত্মীয়-স্বজনের কাছে হাওলাত নিয়ে কিংবা সয় সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশ যাওয়া লাগবে না আপনার পাশে থাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন সহজ ভাবে। তার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম কানুনের মধ্যে কাগজ পত্র জমা ও ফরম পূরণ করতে হবে।
২০২৫ সালে এসে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোন নেওয়ার যেসব নিয়ম কানুন তৈরি করছে সেসব বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমতো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আপনাকে বৈধ পথে বিদেশ যেতে হবে এবং বৈধ ভিসা পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং যে সব কাগজপত্র লাগবে সেগুলো নিজে বর্ণনা করা হলো :
- বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
- তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে নাগরিকতা সনদপত্র।
- বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- যে দেশে যাবেন সে কোম্পানির মালিকের বিদায়ের।
- ব্যাংক চেক।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যে শাখা আবেদন করবেন সেখানে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- দুইজন জামিনদার থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে যে দুজন জামিনদার থাকবে তাদের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য হবে। যেমন :
- এক জন জামিনদারের ব্যাংক চেক।
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দুই কপি ছবি
- জামিনদার কে পরিষদের সামর্থতা থাকতে হবে
- জামিনদারের ঋণ পরিষদের একটি অঙ্গীকারনামা।
তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন নিয়ম সম্পর্কে জানতে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইট https ://pkb.gov.bd. এই লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত কিনে নিতে পারবেন। তাছাড়া নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে গিয়ে লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে তা বিস্তারিত জানতে পারবেন। কারণ আমাদের পক্ষে লোন নেওয়ার জন্য সত্য পর্যন্ত বিস্তারিত বলা সম্ভব না। কারণ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে আপনি ঋণ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবে তারপরে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের মেয়াদ ও সুদের হার কত
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের মেয়াদও সুদের হার কত? তো আজ আপনাদের জানাতে চলেছি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মেয়াদে সুদের হার কত সে সম্পর্কে।আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি ধৈর্য ধরে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত বছর মেয়াদে লোন দিয়ে থাকেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শতকরা কত পারসেন্ট সুদ দিতে হয়।
প্রথমত বলে রাখি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন মিয়াদে লোন দিয়ে থাকে। তিন বছর থেকে তার অধিক সময় পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। তবে সকলের তিন বছর মেয়েদের ইন্টার বেশি নিয়ে থাকেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনি বিদেশ গিয়ে টাকা উপার্জন করে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে প্রতি মাসে আপনাকে কিস্তি পরিশোধ করতে হয় নইলে জরিমানা দিতে হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার কতো? তা অনেকে জানতে চেয়েছেন। অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার সবচেয়ে কম। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সুদের হার ৯% হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন মেয়াদের ঋণের উপর সুদের হার নির্ভর করে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার ৫% থেকে ১২% এর মধ্যে হয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পেতে কি কি শর্ত লাগে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য রয়েছে। যে শর্তগুলো একজন আবেদনকারীর সম্পন্ন পূরণ করলে বা সম্পূর্ণ যোগ্যতা থাকলে একজন আবেদনকারী প্রবাসী কল্যাণ ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এতগুলো হল: আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সে শাখায় আবেদন করবেন সেই শাখায় একটি আবেদন ফোরাম পূরণ করতে হবে। বিশেষ দ্রষ্টব্য এই যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে এখনো অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার কোন সিস্টেম চালু হয়নি তবে আমরা আশা করছি এই সিস্টেমটি দ্রুতই চালু হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা থাকতে হবে এবং আপনাকে কোন প্রকার দুর্নীতি কাজে জড়িত থাকা যাবে না। এবং আপনার পক্ষে দুইজন জামিনদার লাগবে। যারা আপনার অবর্তমানে ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা রাখবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যেহেতু আপনি সহজে লোন নিতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত লোন পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে প্রতি মাসে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। আর এক মাস ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে পরবর্তী মাসের জরিমান সহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এক মাস ঋণ পরিষদ না করতে পারলে পরবর্তী মাসে সেটা আরো ভারী হয়ে যায়। তাই করবেন সব সময় চেষ্টা করবেন প্রতি মাসে ঋন পরিশোধ করতে। এতে আপনার মান সম্মান যেমন বজায় থাকবে তেমনি ব্যাংকের নিয়ম পালন করাও হবে।
সে কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন মেয়াদের ঋণ দিয়ে থাকে। যেমন তিন বছর মেয়াদি ঋণ প্রকল্প। দশ বছর মেয়েদের ইন প্রকল্প। তবে সাধারণত মাসিক কিস্তিতে এর ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
শেষ কথা: প্রবাসী কল্যাণব্যবস্থা যেসব সুবিধা দিয়ে থাকে
আজকাল অনেকেই জীবিকার তাগিদে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে বিদেশ গমন করছে একটু সুখের আশায়। কিন্তু অনেকে টাকার অভাবে বিদেশ যেতে পারছেন না তাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনা আজকে আমরা বিস্তারিত জেনেছি কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের সুবিধা দিয়ে থাকে এবং কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায়। তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কি কি লোন দিয়ে থাকে সে সম্পর্কেও জেনেছি।
তো আমাদের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে লাইক কমেন্ট অবশ্যই করবেন এবং অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে কমেন্টে জানাবেন। কারণ আমাদের লেখার সার্থকতা খুঁজে পাই আপনাদের মাঝেই কারণ আপনাদের ভালো লাগলে আমাদের লেখার উৎসব বাড়বে।
এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url