সন্তানের মেধা বিকাশ এর ১০ টি কার্যকরী টিপস

সন্তানের মেধা বিকাশে সাহায্য করে এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব আজ আমারা আমদের আর্টিকেলে। কারণ প্রতিটি বাবা মায়ের স্বপ্ন তাদের সন্তান যেন বুদ্ধিমান, সৃজনশীল এবং সফল মানুষের ওঠে । বই পড়ে, খেলাধুলা করে, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে কিভাবে সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটে তা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনায়। 

সন্তানের-মেধা-বিকাশে ১০-টি-কার্যকরী-টিপস

তাছাড়া সন্তানের মেধা বিকাশে বাবা-মার কি কি ভুমিকা রাখা উচিৎ তা নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। তাই আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে সন্তানের মেধা বিকাশে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস এই আর্টিকেল টি ধৈর্য ধরে পড়ুন।

পোস্ট সুচীপত্র ঃ সন্তানের মেধা বিকাশে ১০ টি কার্যকরী টিপস  

  • সন্তানকে সঠিক পুষ্টি দিতে হবে 
  • বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে 
  • সুজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিন 
  • প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিতে হবে 
  • খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে 
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন 
  • ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে হবে 
  • প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করাতে হবে 
  • পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বলতে হবে 
  • শিশুর আগ্রহকে সম্মান করতে হবে 

সন্তানকে সঠিক পুষ্টি দিতে হবে 

সন্তানের মেধা বিকাশ এর দশটি কার্যকরী টিপস এর মধ্যে প্রথম যে বিষয় টি আসে সেটি হচ্ছে। সন্তানকে সঠিক পুষ্টি দিতে হবে। বাচ্চার মেধাবিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুষ্টিকর খাবার। সন্তানের মেধাবী বিকাশের জন্য শিশু অবস্থা থেকে বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। কারন শিশু অবস্থায় মেধা বিকাশ দূর্ত বৃদ্ধি পায়। আপনার সন্তান আপনার ভবিষ্যতে তাই সন্তানকে ভালোভাবে মানুষের মতো মানুষ করার জন্য সন্ধান ঠিক মতো খাবার খাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানের খাবারের প্রতি অরুচি, কোন খাবারের প্রতি  ভালোলাগা  তা খেয়াল রাখতে হবে এবং সন্তানের উঠতি বয়সে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। 

আরো পড়ুন ঃ ডাইবেটিকস রোগীর জন্য বিপদজ্জনক ৭টি ফল 

বিশেষ করে সন্তানকে কোনভাবে খাবার খাওয়ার সময় মোবাইল দেওয়া যাবে না। অনেক বাচ্চা মোবাইল ছাড়া খাবার খেতে চায়না ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের এসব অভ্যাস পরিহার করতে হবে। মোবাইল বা টেলিভিশন দেখে খাবার খেলে বাচ্চার ব্রেনের ক্ষতি হয় এবং খাবার কোনভাবেই শরীরের লাগে না। এমনকি বাচ্চা খাবারের সঠিক স্বাদ পায় না। এতে করে পুষ্টিহীনতায় ভোগে এবং সন্তানের মেধা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।

সন্তানের মেধা বিকাশে সাহায্য করে যেসব খাবার সেগুলো হলো: 

  • দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, শাকসবজি, ফল এবং ডাল নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। 
  • কৃত্রিম জিনিস পরিহার করে প্রাকৃতিক জিনিস সন্তানকে দিতে হবে। 
  • ওমেগা-৩ ফ্যাটিএসিড (যেমন সামুদ্রিক মাছ) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে সন্তান কে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া অভ্যস্ত করতে হবে। 
  • অতিরিক্ত ফাস্টফুট ও চিনেযুক্ত খাবার বাচ্চার মেধাবিকাশে বাধাগ্রস্ত করে। তাই আপনার সন্তানকে এসব খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে। 

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে 

বই পড়া শুধু জ্ঞান নয় এটি শিশুর কল্পনা শক্তি ও মনোযোগ শক্তি বারাতে সাহায্য করে। সারাদিন বই পড়লে শুধু জ্ঞান চর্চা হয় তা নয় মস্তিষ্কের ব্যামায়ও হয়। তাই আপনার সন্তানের হাতে মোবাইল না দিয়ে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাসে গড়ে তুলুন। এতে আপনার সন্তানের মেধাবিকাশে সাহায্য করবে। 
  • গল্পের বই, বিজ্ঞান বই বা ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাসে গড়ে তুলতে হবে। 
  • আপনার সন্তানকে প্রতিবছর বইমেলায় নিয়ে গিয়ে অন্ততপক্ষে একটি বা দুইটি কিনে দিন।  
  • প্রতিদিন অন্তত ১৫ -২০ মিনিট অন্যান্য বই পড়ার সময় নির্ধারণ করুন। 
  • পড়ে পড়া শেষে গল্পটি নিজের ভাষায় বলার অভ্যাস করতে হবে। 

সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিন 

আপনার সন্তানের মেধা বিকাশ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই তার সৃজনশীল কর্মকাণ্ডগুলোকে সহজে গ্রহণ করতে হবে এবং উৎসাহ দিতে হবে। আপনার সন্তান কে নতুন নতুন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত করুণ এতে তার মনোবল দৃঢ হবে এবং মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটবে। যাতে করে সে ইতিবাচক সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে শুভ চিন্তাও অন্যান্য সমস্যার সমাধান। 
  • আঁকা, গান, নাচ, হস্তশিল্প বা লোগো গেম শিশুর সৃজনশীলতা বাড়ায়। 
  • আপনার সন্তান ভুল করলে কখনোই বকা যাওয়া করবেন না। বরং তাকে ভুল শুধরে পজিটিভিটি কাজে  উৎসাহ দিতে হবে। 
  • তার চিন্তা ও কল্পনাশক্তির মূল্য দিতে হবে। তার যে কাজের প্রতি আগ্রহ তাকে সেই দিকে উৎসাহিত করতে হবে। 
সন্তানের-মেধা-বিকাশে ১০-টি-কার্যকরি-টিপস

প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন 

সন্তানের মেধা বিকাশ এর  সাহায্য করে যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে জানার আগ্রহ। আর এ জানার আগ্রহ থেকেই তৈরি হয় প্রশ্ন। তাই আপনার সন্তানকে মেধাবী করে গড়ে তুলতে তাকে প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। বাচ্চাদের যে কোনো ধরনের প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিন। আপনার সন্তানের কোনো প্রশ্নে বিরক্ত হবেন না। বাচ্চাদের প্রশ্নে ধমক দিলে বা বিরক্ত হলে বাচ্চারা পরে প্রশ্ন করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। আপনার কাছে যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর না থাকে তবে পরে জেনে জানাবো বলে দিন কিন্তু কখনো প্রশ্ন করা নিয়ে কথা বলবেন না।  এতে করে আপনারা সন্তানের মেধা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে। 

  • আপনার সন্তানের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য সহকারে দেয়ার চেষ্টা করুন। 
  • তাকে নিজের মতো করে প্রশ্ন  করতে ও উত্তর খুজতে উৎসাহ দিন। 
  • আপনার সন্তানকে প্রতিটা বিষয় কেন হয় বা কি জন্য হলো  এসব কিছু জানার আগ্রহ তৈরি করুন  এতে বিশ্লেষণ বা  সমাধানের দক্ষতা বাড়ে। 

খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে

খেলাধুলা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। খেলাধুলা করলে যেমন শরীর সুস্থ থাকে তেমনি মনও ভালো থাকে। খেলাধুলা করলে আপনার সন্তান শিখবে নেতৃত্ব গুন, দায়িত্ববোধ ও নিয়মানুবর্তিতা। আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে পড়ালেখার পাশাপাশি মুক্ত পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ করে দিন। এটা তাদের মনের বিকাশ ও মেধার বেকার দুটাই ঘটবে। 
  • দলগত খেলায় অংশগ্রহণে সহযোগিতা ও নেতৃত্ব শিখে যা সন্তানের মেধা বিকাশে সাহায্য করে। 
  • আউটডোর গেম যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, সাইকেল চালানো শিশুর মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মেধার বিকাশ ঘটে। 
  • খেলাধুলা বাচ্চাদের মধ্যে আত্মবিশেষ ও উদ্যাম তৈরি করে।
  • আপনার সন্তানকে প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট বাইরে খেলাধুলার সুযোগ করে দিন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে 

সন্তানের মেধা বিকাশ এর জন্য অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে পর্যাপ্ত ঘুম ও জরুরী। কারণ ঘুম মস্তিষ্কের পূর্ণ গঠন ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য। তাই আপনার সন্তান কে নির্দিষ্ট সময় মতো ঘুমানোর অভ্যাস করান। বর্তমান জেনারেশনের একটি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে সারারাত জেগে ভোরবেলা ঘুমাতে যাওয়া। এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কারণে তোর বোনের অনেক ক্ষতি হয় এবং মেধার বিকাশ ঠিকমতো ঘটে না। তাই আপনার সন্তানকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বলুন এবং ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ সকাল বেলা প্রকৃতি  ঠান্ডা থাকে তাই এ সময় ব্রেন দূর্ত কাজ করে। 

  • ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৯-১১ ঘণ্টা ঘুম দরকার  
  • ঘুমের আগে আপনার সন্তানকে মোবাইল, টিভি বা ভিডিও গেম থেকে বিরত রাখুন 
  • ঘুমের পরিবেশ শান্ত অন্ধকার রাখুন। 
  • নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ঘুম ও জাগার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 
সন্তানের-মেধা-বিকাশে ১০-টি-কার্যকরী-টিপস

ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে হবে 

প্রতিটি শিশু বেড়ে ওঠে একটি পরিবেশের মধ্যে। আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে আগে আপনার সন্তানের জন্য একটা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কারণ আপনার চারপাশের পরিবেশের প্রভাব পড়ে আপনার সন্তানের ওপর যেখানে সে বেড়ে ওঠে। তাই পরিবেশের ভালোবাসা ও নিরাপত্তা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  

প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে 

বর্তমান সময়ে সন্তানদের মেধাবিকাশের বড় সমস্যা হচ্ছে  ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হওয়া। বর্ধমানে  তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের অনেক উপকার করে। এর অনেক ভালো দিক যেমন রয়েছে অনেক খারাপ দিকো রয়েছে কিন্তু সব কিছু নির্ভর করে এর ব্যবহারের উপর। তাই আপনার সন্তানের বিকাশ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কিভাবে করবেন সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো :
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেবেনা 
  • আপনার সন্তানকে শিক্ষণীয় ভিডিও কনটেন্ট দেখাতে উৎসাহ করুন। আজেবাজে কনটেন্ট থেকে বিরত রাখুন। 
  • বাস্তব জীবনের খেলাধুলা ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটতে উৎসাহ দিন। 
  • বই পড়ার প্রতি উৎসাহী করে তুলুন। 
  • প্রযুক্তির পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতার গুরুত্ব বোঝান। 

পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে হবে 

একটি পরিবারই হচ্ছে একটি শিশুর প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র। একটি শিশু যে পরিবারে বেডে ওঠে সেই পরিবারের সদস্যদের আচার, ব্যবহার, তাদের চিন্তা ধারা, বিচার বিশ্লেষণের ফুটে উঠে সেই সন্তানের উপর। আপনার পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পড়বে তাই আপনার সন্তান যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার জন্য তাকে একটি সু সম্পর্কযুক্ত পরিবারের তাকে উপহার দিতে হবে। যে পরিবারে থাকবে ভালোবাসা, দায়িত্ব,  কর্তব্য বোধ , ন্যায় নীতি শিষ্টাচার ইত্যাদি। কথায় বলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। 


আপনারা সন্তানের আচার ব্যবহার প্রকাশ পাবে তার পারিবারিক শিক্ষার উপর তাই আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে অবশ্যই তাকে ভালোবেসে, তার সাথে ভালো ব্যবহার করে তাকে গড়ে তুলতে হবে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আপনার সন্তান যদি কোনো ভুল কাজ করে বা কোনো কাজে ব্যর্থ হয় তবে তাকে বকাঝকা না করে তাকে পারিবারিকভাবে সাপোর্ট দিতে হবে এবং আগলে রাখতে হবে। পরবর্তী কোন ভুল কাজ না করে তাহলে তাকে উৎসাহ দিয়ে পরবর্তীতে জয়ী হওয়ার আহবান করতে হবে 

ছোট ছোট সাফল্যের প্রশংসা করুন 

আপনার সন্তানের মেধার বিকাশ ঘটাতে চাইলে। তার ছোট ছোট কর্মকাণ্ড গুলোর প্রশংসা করুন কারণ প্রশংসায় শিশুর শেখর আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। আপনার সন্তানকে সামনে কখনো নেতিবাচক কথাবার্তা বলবেন না। যেমন সে কখনো পারবে না, দ্বারা হবে না, সে কোন কাজ ভালোভাবে পারেনা কথাবার্তা থেকে বিরত রাখুন কারণে সব কথাবার্তা তার মস্তিষ্কটাকে বিকৃত করে তোলে এবং সে মানসিক ভেঙে পড়ে । ভাবতে থাকে তার দ্বারা কোনোকিছু সম্ভব হবে না। তাই আপনার সন্তানের সামনে সবসময়ই হ্যাঁ বোধক শব্দ বেশি প্রয়োগ করুন এবং তার ছোট ছোট কাজগুলোকে সাফল্য মনে করে তার প্রশংসা করুন। আর সামনে বলতে থাকুন তার দ্বারা ভালো কিছু অসম্ভব, সে যা করছে ভালোভাবে করছে, সামনে সে আরো ভালো কিছু করতে পারবে। 
  • ছোট অর্জনেও  ভালো করেছো বলুন।
  • তুলনা নয়, উৎসাহ দিন। 
  • তাকে মানসিক ভাবে মুক্ত রাখুন। 
  • যে কাজে তারা বেশি আগ্রহী সে কাজ গুলো তাদের  করতে দিন।
  • সন্তানের ইচ্ছা শক্তিকে প্রাধান্য দিন সন্তানের  ওপর বাবা মার স্বপ্ন গুলো চাপিয়ে দিলে চলবে না। 
প্রশংসা করার ক্ষেত্রে এই কথা গুলো মাথায় রাখতে হবে। তার ছোট ছোট কাজগুলো প্রশংসা করার মানে যেন তার খারাপ কাজগুলো প্রশ্রয় না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শেষ কথা : সন্তানের মেধা বিকাশে ১০টি কার্যকরী টিপস 

সন্তানের মেরর ধাবিকাশ কোন এক দিনের কাজ নাই এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তাই এটি ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। আপনার সন্তানের মেধা বিকাশের জন্য সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, পড়াশোনা, অভ্যাস খেলাধুলা,  ইতিবাচক পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে। আপনার সন্তানকে মেধাবী করে গড়ে তুলতে আপনার সন্তানের প্রতি ভালোবাসার সময় এবং ধৈর্য ধরে তাকে গড়ে তুলতে হবে। একটি গাছকে যেমন ছোটবেলা থেকেই যত্ন নিয়ে বড় করতে হয় তেমনি আপনার সন্তানকে একটি সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে। উপরোক্ত আলোচিত বিষয় গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আশা রাখি আপনার সন্তানদ একজন মেধাবী হয়ে গড়ে উঠবে। 

আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু সন্তানের মেধা বিকাশ হলে হবে না, তাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পৃথিবীর সকল মা বাবার একটি চাওয়া তাদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠে এবং এই পৃথিবীর বুকে তাদের মুখ উজ্জ্বল করে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url